বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার হামলায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মর্টারশেল নিক্ষেপের পর রাতে কয়েকদফা যুদ্ধবিমান মহড়া দেয়। এরপর মিয়ানমার সীমান্তে থেমে থেমে গোলা বর্ষণ করা হয়।শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর পর ২টি ঘটনার পর চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সীমান্তবাসী।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তে তুমব্রু জিরো পয়েন্টে রাত ৯টার দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার বিস্ফোরণে ইকবাল (১৫) নামে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এক শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত পাঁচ রোহিঙ্গার মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন জাহিদ আলম (৩০), নবী হোসেন (২১), মো. আনাস (১৫) ও সাহদিয়া (৪)। আহতদের উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে সীমান্তের ৩৫ নং পিলারে কাছে কাটাতারের বেড়া ঘেষে পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে অং থোয়াই তংচংগ্যা নামে এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদিকে সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯৯ জন।
সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পটিতে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী মর্টার হামলার পর হতাহতের ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানান বসবাসরত রোহিঙ্গারা।